- Advertisement -spot_img
HomeHistory & Securityঅন্ধকারের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি

অন্ধকারের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি

- Advertisement -spot_img

বাংলাদেশ সহ এশিয়ার সাধারণ মানুষ এমনকি অংকে শিক্ষিত মানুষ যা জানেনা এমনকি ইউরোপ ও খোদ আমেরিকার মানুষও যা জানেনা তা হচ্ছে সর্বজনপ্রিয় ও একজন নামকরা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির অন্ধকার দিক। তক্ষনকার যুগে আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের ক্ষমতা বর্তমানের চেয়ে বেশি ছিল. এমনকি এক চেটিয়া ছিল। তার অন্যতম কারণ তখনকার যুগে স্নয়ু যুদ্ধ চলছিল তৎকালীন পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। এজন্য প্রেসিডেন্টকে একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল কারণ স্নায়ু যুদ্ধের সংকটকালগুলুতে প্রেসিডেন্টকে একক সিদ্ধান্ত নিতে হত। এ সময় প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি যাকে মানুষ গুণধর হিসাবে চিনে আসলে তিনি তা ছিলেননা। তিনি তার উল্টোটা ছিলেন। ডিপার্টমেন্ট ও প্রশাসনের বেস্ততার কারণে তখন পাপারাজ্জি পত্রিকা গুলোও এ নিয়ে মাথা ঘামাইনি। অথচ প্রেসিডেন্ট তার অপকর্ম ও কুকীর্তি করেছেন খোদ হোয়াইট হাউসে থেকেই।

মানুষ অপকীর্তি নারী কেলেঙ্কারির জন্য প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টকে অপবাদ দিয়ে থাকে। অথচ বিল ক্লিনটন কেনেডির কাছে নস্যি। তিনি তার ক্ষমতা বেবহার করে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারি করে গেছেন। ক্ষমতা বেবহার করে বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট অট্টালিকায় চলে গেছেন বিশ্রামের নাম করে। জন এফ কেনেডি হলিউড অভিনেত্রী ও হলিউড মডেল মেরিলিন মনরো সহ সাংবাদিকা, লেখিকা, নারী শিল্পীদের নিয়ে সময় কাটিয়েছেন, লাম্পট্যে মেতে উঠতেন। তার বেহায়াপনা এতটাই ছিল যে তিনি স্নায়যুদ্ধের সংকট আলোচনায় বন্ধু রাষ্ট্র জুতোরাজ্যে গেলে সেখানকার প্রধানমন্ত্রীকে বলে বসেন নারী ছাড়া তার আলোচনা মিটিংয়ের পরবর্তী রাত কাটবেনা। এমনকি এ বেয়াদব প্রেসিডেন্ট জিজ্ঞেস করে বসেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাসাদে কোনো কল গার্ল ডেকে আনা যাবে কিনা? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ ভেবে বিব্রত বোধ করেন যে কেনেডির খুব ভালো ও সুন্দরী একজন স্ত্রী জেনি আমেরিকার ফাস্ট লেডি সে থাকতে প্রেসিডেন্ট এ ধরণের মানসিকতা রাখেন। এ ধরণের ঔদ্ধত্বে সভ্ভতার পাঠাগার ব্রিটেনের প্রদ্যানমন্ত্রী এ সময় রেগে যান এবং তার সহকারীদের জন এফ কেনেডির বেহায়াপনার আচরণ সম্মন্ধে অবহিত করেন। তিনি এও বলেন যদি প্রটোকল না থাকতো তাহলে তিনি এই বেয়াদব প্রেসিডেন্টকে তার প্রাসাদ থেকে বের করে দিতেন। প্রেসিডেন্ট কেনেডি যে এতটা জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, বীভৎস, বিকৃত ছিলেন তা তার গোয়েন্দা বাহিনী প্রকাশ হতে ক্ষমতারোপ করে রাখতো ও পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সমস্ত রিপোর্ট ও প্রমাণাদি পুড়িয়ে ফেলা হয়। কিন্তু সত্যের কল বাতাসে বাজে। কিছুদিন আগে ডি ক্লাসিফাইড ইনফরমেশন প্রসিডিউর কারণে সত্য বেরিয়ে আসে। এই ২০২২ সালে এসে পৃথিবীবাসী জানতে পারল এই লম্পট ও নারী লোলুপ প্রেসিডেন্টের আসল পরিচয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here