গতকাল ০৮ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩.৩০ টায় পেশাজীবি অধিকার পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে “বিচারিক হয়রানি এবং ড.মুহাম্মদ ইউনুস শীর্ষক” আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ইবরাহিম, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড.সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কামাল, বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যপারি, আলোকচিত্রী শহিদুল হক ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাঁশেদ খান l
পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহবায়ক জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন l
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল ইব্রাহীম বীর প্রতীক বলেন, নোবেলের জন্য ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার ড. মোহাম্মাদ ইউনূস।
ঢাকসু সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, ড. ইউনুসের ষড়যন্ত্র মূলক আইনি হয়রানীর বিরুদ্ধ সোচ্চার না হলে, কাল আপনি ও পরশু আমিও এর স্বীকার হবো ।

আন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্র শিল্পী শহিদূল হক বলেন, নোবেল কমিটির কাছে গুম খুনের জন্য নেত্রীর নোবেল জয়ের সুপারিশ করতে হবে।
পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও অনুষ্ঠান সঞ্চালক নিজামুদ্দিন বলেন, ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের অবস্থান আমাদের জন্য লজ্বাজনক।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, যে অব্যবস্থাপনা এ অবৈধ সরকার রেখে যাবে তা ঠিক করতে দেশের জনগণকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।
পেশাজীবী অধিকারের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব সৈয়দ তানভীর ইউসুফ বলেন মাফিয়ারা গণতন্ত্রের রচয়িতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক স্কানিং বেবস্থায় ধরা পড়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি খ্যাতিমান বাংলাদেশি ড. মোহাম্মদ ইউনুস তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। তারা জানে ড. মোহাম্মদ ইউনুস তত্বাবধায়ক সরকারে এলে গণতন্ত্রের পীঠস্থান পশ্চিমা বিশ্বের ধারায় একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার রূপরেখা দাঁড় করাবেন। তাই তাকে এতো ভয়। তারা আরো জানে তাকে হয়রানি করলে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন। তত্বাবধায়ক সরকারে আসবেননা। কিন্তু পেশাজীবীরা ড. ইউনুসের সেফটি সিকিউরিটি নিয়ে সোচ্চার। আমরা তার পাশে আছি। থাকবো।

জাতীয়তাবাদী দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদ জিয়া ও তারেক রহমানের মত একই ভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনুসও বিচারিক হয়রানির স্বীকার।
পেশাজীবী অধিকারের আরেক যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক একটি বিশেষ আইনে পরিচালিত হয়; যার ৯৭% মালিকানা এর ঋণগ্রহীতা সুবিধাভোগী সদস্যবৃন্দ। ড. ইউনূস শুধু আমাদের নন, পুরো বিশ্বের সম্পদ। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রপ্রধানগণ তার মুখের কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন; সেখানে নিজদেশে ড. ইউনূসের সাথে যা করা হচ্ছে, তা এ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে স্কুলের বাচ্চাদের ড. ইউনূসের জীবনী পড়ানো হয়। মৌলিক শিক্ষার পাশাপাশি তারা যেন ড. ইউনূসকেও জানতে পারে। আমরা পেশাজীবীগণ ড. ইউনূসের বিষয়ে উদ্বিগ্ন এবং সবসময়ই আমরা তার পাশে আছি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহবায়ক জনাব আব্দুর রহমান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জনাব খালিদ হোসেন, জনাব মনিরুল মাওলা ও জনাব রোকনুজ্জামান প্রমুখ l সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন অনুষ্ঠান সভাপতি জনাব জাফর মাহমুদ l