– রিজওয়ান রুপ দীনেশ
প্রথমত, আজকে দলটি সালাউদ্দিন সাহেবের নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে কমিশনে তাদের রিভিউ প্রস্তাব দিয়েছে। বেশিরভাগ প্রস্তাবে তারা না সূচক মতামত দিয়েছেন! সালাউদ্দিন সাহেব সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং এ জানান ১৯৭১ ও জুলাইকে বিপ্লবকে তারা এক চোখে দেখে না (কোথায় মুক্তিযুদ্ধ আর কোথায় জুলাই বিপ্লব টাইপ তাচ্ছিল্য)। সংবিধান সংস্কার, সংসদ ব্যবস্থা ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের প্রশ্নে গতানুগতিক ধারার পরিবর্তন তারা চায় না। অর্থাৎ তার কথার টোন ও ঐ সময়ে তার মুখের এক্সপ্রেশন জুলাই বিপ্লবকে এক রকম অবজ্ঞা করার মতই মনে হলো। এটা হতাশার নয় বরং আমরা যারা তাদের রাজনৈতিক দর্শন জানি তাদের কাছে এটাই প্রত্যাশিত!
দ্বিতীয়ত, জুলাই বিপ্লব চলাকালীন তাদের মহাসচিব মিডিয়াকে ৩- ৪ দিন বিএনপির এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকে অস্বীকার করেছেন যা তাদের সাহসী মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের চরম ক্ষুব্ধ করতো। কর্মীরা তাদের নেতৃত্বকে জুলাই যুদ্ধে এক প্রকার ঘৃণা করা শুরু করেছিলো! তাদের কর্মীরা ২৮ অক্টোবর ২০২৩ সালের সর্বদলীয় সমাবেশে আওয়ামীপাপে সুযোগ নষ্টের সমালোচনা ও অথর্ব নেতৃত্বের কথা বলে আক্ষেপও করতো (সেই সমাবেশে প্রায় ২০ লক্ষ বিরোধী রাজনীতির মানুষ ঢাকায় জড়ো হয়েছিলো )! তারা আওয়ামী লীগের সুযোগ সুবিধা ভোগী নেতাদের তিরস্কার ও বিপ্লব সফল না হওয়ার কারন আমাদের জানাতো। আমরা তাদের শান্তনা দিয়ে উৎসাহ দিতাম! আজ বুঝি কেনো তাদের বিপ্লবীরা বর্তমান বিএনপির প্রায় এক ডজন হাই প্রোফাইল নেতাদের অপছন্দ করতো। এরা প্রত্যেকেই হাসিনার সময়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। মিলেমিশে যৌথ বানিজ্য চালিয়েছে, পারিবারিক বিবাহ বন্ধনে জড়িয়েছে! তারা হাসিনার সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আজও লিয়াজু মেইন্টেইন করে চলছে! আজ এসব নেতারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার কথা বলে পুনরায় প্রমাণ করলো যে, তৃণমূল যে অভিযোগ করেছিলো ওসব সঠিক ছিল!
তৃতীয়ত, জুলাই স্পিরিট: নতুন রাজনৈতিক বন্দবস্ত, সৈরাচারী ব্যবস্থার চিরস্থায়ী বিলোপ, সংবিধান পুনরায় লিখা, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার সহ জুলাই বিপ্লবের সকল উদ্দীপক গুলিকে এখন তারা অবজ্ঞা/ অস্বীকার করছে যা আমার কাছে প্রত্যাশিত! ৫৪ বছরের এটাই ছিলো তাদের চর্চা! বেইমানির চর্চা! এমনকি আরাফাত রহমান কোকোকে হত্যাকারীর দল আওয়ামী লীগের সাথে তাদের বন্ধুত্ব যেনো “প্রিয় শত্রু” সিনেমার মতো! তাহলে আরাফাত রহমান কোকোর বেলায় যদি বিএনপির এই সকল নেতাদের অবস্থান এইরকম হয়, তবে তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের যে ফ্যাসিস্ট দলটা, হত্যা গুম, বাড়িছাড়া করেছিলো তাদের কি হবে? তাদের খবর এই নেতারা রাখে না! চরম ঘৃণা নিয়ে অনেকেই বিএনপির রাজনীতির বাইরে আছেন! ত্যাগীরা চাপা পরে হাইব্রিড পলাতকদের শো -ডাউনে! হাইব্রিডরা মঞ্চ কাঁপিয়ে বেড়ান আর বিপ্লবীরা দূরের অডিয়েন্সে আফসোস করেন, চোখ মুছেন!
এবার আসি বিপ্লব পরবর্তী বিএনপির সাথে ভারতের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মিটিং, যোগাযোগ, জুলাই বিপ্লব পরিপন্থী চান্দাবাজী, ভিন্ন মতের উপর হামলা, মব, প্রতিদিন নিজ দলের নেতাকর্মীদের হত্যা ( আজও তারা তাদের দলের এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেল্লো), বালুমহাল দখল, খেয়া ঘাট দখল, বাস স্ট্যান্ড দখল, নৌঘাট দখল, ব্যাংক দখল, ডাকাতি, ছিনতাই, টেন্ডার ও শামা ওবায়েদদের আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে তাদের দলে পুনর্বাসনের স্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা কি বুলু ভাই এর নিচের বক্তব্যের সাথে মিলে যায় না? মিলে না গেলে কমেন্টে জানাবেন। আসলে বিএনপির হাইকমান্ড জুলাই স্পিরিটকে বিন্দুমাত্র আর ধারণ করতে চায় না। যা তাদের একার অর্জন না তা দেশের মানুষের যতো গর্বিত অর্জন হোক না কেনো ওরা তা ধারণ করবে না, ব্যাস। এটা ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ সালে সর্বদলীয় মহাসমাবেশে প্রমাণ পেয়েছি। ঐদিন গণঅধিকার, জামাত সহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের শত অনুরোধ সত্বেও মির্জা সাহেব কর্মসূচি সমাপ্তি করে দিলেন অথচ আমরা মাঠে বসে পরার জন্য প্রস্তুত ছিলাম!
চতুর্থত, হাসিনা প্রতিবেলা খাবার পরে বিএনপির সমালোচনা করতো! লোকমুখে শুনেছি ওসি প্রদীপ মানুষ খুন না করলে তার ঘুম হতো না। আর হাসিনার বিএনপির সমালোচনা না করলে তার খাবার হজম হতো না! ইদানীং আওয়ামী লীগ- বিএনপির কথা যেনো ভুলেই গেছে। এই যে হাসিনা বিএনপিকে বেমালুম ভুলে গেলো এর পিছনে রহস্য কি? রহস্য হইলো আওয়ামী লীগ এখন জানে তার শত্রু বিএনপি না। আওয়ামী লীগের শত্রু হলো তারুণ্যের দলগুলি। এইটা প্রমাণ করে যে, বুলু সাহেবদের সাথে অঘোষিত একটা চুক্তি দাদা বাবুদের হয়েছে যা হাসানাত আব্দুল্লাহর সাথে সেনা প্রধানের ফাঁস হওয়া ঘটনায় প্রমাণিত। আর আইএসপিআর তো বলেছেই তারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ সংক্রান্ত আলাপ সার্জিসদের সাথে করেছে! কতটা ভয়ংকর বোকামী হাসিনার বোন জামাই ওয়াকার করলো!
তারুণ্যের সেই শক্তি আওয়ামী লীগের কবর খুড়েছে যারা ২০১৮ থেকে এক্কেবারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পায়ে হাসিনার এমন বিপুল সাম্রাজ্যের পত ঘটিয়েছে! হাসিনা যদি আগে বুঝতো এই বাচ্চাদের দলগুলিই তার পতন নিশ্চিত করবে তবে হাসিনা বিএনপির সমালোচনা না করে ছাত্রদের ওই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাগুলিকে ” রাশিয়ার তরুণ নেতা নাভালনি”র মতো বিষ খাইয়ে মেরে ফেলতো! জি তাই করতো হাসিনা! হাসিনা জানতো কিভাবে হেফাজত, বিএনপি, জামাত দমন করতে হয় কিন্তু হাসিনা ১৮ এর কোটা, ১৯ এর সড়ক, ভ্যাট আন্দোলন, ২১ এর মোদি হঠাও আন্দোলন দমন করতে পারে নাই! নতুন শত্রু কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় হাসিনার কাছে সেই কৌশল ছিলোই না। হাসিনা জাতীয় পার্টিকে পাপোসের মতো পোষ মানাতে জানতো কিন্তু তরুণদেরকে আপোষে আনতে ব্যর্থ হয়েছে! এইগুলি হলো হাসিনার ভুল। আর গতানুগতিক দলগুলিও হাসিনার অত্যাচারে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো ( যাকে বাংলায় ধ্যাতা বলে)! ফলে তারা গৎবাঁধা কর্মসূচি দিয়ে বাসায় বসে খিচুড়ি উপভোগ করতো!
তাহলে বুলু ভাইয়েরা এমন ধৃষ্টতা মার্কা কথা কেনো বলে?
তারা ক্ষমতা দেখায় এবং পাবলিকের মানসিক অবস্থা টেস্ট করে। যে টেস্ট হাসিনাও করতো। একেকটা উদ্ভট কথা বলে মানুষকে রাগিয়ে তুলে আবার রাগের মাথায় পানি ঢালতো ভিন্ন কাউকে দিয়ে। হাসিনা আন্দোলন বানাতো আবার সেই আন্দোলন চরমভাবে দমন করে মানুষের সেন্টিমেন্টকে একটা গন্ডিতে বন্দি করতো। এটা বুনো বাঘকে পোষ মানানোর মতো একটা প্রকৃয়া বলতে পারেন। কেনো মনে নেই হাসিনা এই বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরুতে বলেছিলো ” আরে আমার বাসার কাজের লোকও ৪০ কোটি টাকার মালিক, হ্যালিকপ্টার দিয়ে যাতায়াত করে” কেনো বলেছিলো? সে দেখতে চেয়েছিলো আন্দোলনটা আসলে কোন পর্যায়ে আছে আর মানুষ কিভাবে নিচ্ছে! মানুষের রাজপথে নেমে যাবার ঝুঁকি আছে কিনা সেটা সে দেখতে চেয়েছিলো এমন কয়েকশত টেস্টে হাসিনা বার বার উত্তীর্ণ হয়েছিলো! ঠিক তেমনি জুলাই বিপ্লবকে সালাউদ্দিন সাহেবরা মুছে ফেলতে চায়।কারন এই বিপ্লবে তাদের স্বজন কেউ মরে নাই! তাই এরা এই বিপ্লবের স্পিরিটগুলিকে নিয়ে খামখেয়ালি টাইপ বক্তব্য দিচ্ছে বিপ্লবের আবেগকে হালকা বানাবার জন্য! সারাদেশে এদের লোকেরা অকারেন্স করছে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে তাদের নানামুখি উদ্যেশ্য বাস্তবায়ন করতে! তরুণ, ছাত্র সমন্বয়কদের বিতর্কিত করছে যাতে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আশাহত হয়। আর তরুণরা বিতর্কিত হলে তাদের সুবিধা। তারা যাচ্ছেতাই করবে মানুষ আর রাস্তায় নামবে না এমনটাই তারা ভাবছে!
এই নেতারা কয়দিন পর আর কি বলবে তাও আমরা জানি। তবে বলবো না। পুরোনো কথাই বলবো
” #আওয়ামীপাপে যাদের একবার ধরে তাদের হেদায়েত হয় না। এটা এমন রোগ যা মানুষের বিবেককে সীলমোহর, চোখকে অন্ধ, কানকে বধির আর ঘারকে মাটি থেকে আকাশের দিকে ফিট করে দেয়। ফলে আমার নবীও তাদের হেদায়েত করার শক্তি রাখেন নাই। “
আল্লাহ আমাদের বিপ্লবীদের সহায় হোন
এই দলের বর্তমান অবস্থা/ঘটনার অতি সংক্ষিপ্ত বর্ননা: সিনেমার নাম “প্রিয় শত্রু”। ওপার বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা প্রসেনজিৎ, দিতি ও সোহেল খানের সিনেমা। সোহেল খান দিতিকে এক দুর্ঘটনা থেকে বাচান এবং লম্ফ দিয়ে গান ” এতদিন খুজেছি যারে পেয়ে গেছি আজ আমি তারে, দিয়ে দাও তারাতারি শাদি ও দাদী ও দাদী” গাইতে গাইতে দিতির প্রেমে পরেন! সোহেল খান চাঁদনীকে (দিতি) দামী একটা গহনা দিতে এসে জানেন দিতি বিবাহিত! প্রেমের কথা জানাতে চাঁদনী তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন। সোহেল খানের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে! আধা পাগলা সোহেল খান চাঁদনীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পুরো পাগল হয়ে যান! এদিকে প্রসেনজিৎ বিদেশ থাকায় চাঁদনী গান গাইতে থাকেন “চিঠি কেনো আসে না আর দেরী সহে না, ভুলেছ কি তুমি আমারে?”


বংশের একমাত্র ছেলে সোহেল খান চাঁদনীর প্রেমে অন্ধ হয়ে প্রেমিকা চাঁদনীর স্বামী প্রসেনজিৎকে ভুলভাল বলে অপবাদ দেন এবং সন্দেহ সৃষ্টি করার ব্যবস্থা করেন!একবার তো প্রসেনজিৎ কে সোহেল খান গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করতে চান এবং গুলি পর্যন্ত করেন! ভাজ্ঞিস প্রসেনজিৎ বেচে যায় এ যাত্রায়!
এদিকে বড়লোক্স সোহেল খান থানার ওসিকে হাত করে চাদনীর স্বামীকে খুন করার ইচ্ছার কথা জানান!! লোভী ওসি রাজী হন। আর ওদিকে মানসিক যন্ত্রণা ও সোহেলের অত্যাচার থেকে মানসিক শান্তি পেতে পাহাড়ে ঘুরতে যায় চাঁদনী ও প্রসেনজিৎ। এদিকে পাহাড়ে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সোহেল চৌধুরী প্রসেনজিৎকে ঠাস করে গুলি করে মেরে পাহাড় থেকে ফেলে দেন ও চাঁদনীকে তুলে নিয়ে বন্দী করেন! আহারে বেচারা এখন বাঘের মুখে। একদিন সুযোগ পেয়ে চাঁদনী সোহেল খানকে গুলি করে জেলে যায়। এদিকে চাদনীর মেয়েকে তার বোনের স্বামী বিক্রি করে দেয়। মেয়েটা অপহরণকারীর হাত থেকে পালাতে যেয়ে সোহেলের প্রতিষ্ঠানের একটি গাড়ির সাথে এক্সিডেন্টে মারা যায়!!! চাঁদিনীর বোনও এই দুর্ঘটনায় মারা যান! চাঁদনী হয়ে যায় দুনিয়ায় একা।এই নির্মম ঘটনায় সোহেলের জড়িত থাকার কথা চাঁদনী জানতে পারেন! চাঁদনীর মাথায় বজ্রপাত হয়! চরম প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে তার বুকে! এই চিন্তা থেকে সে জেলের সকল প্রহরীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে জেল থেকে পালিয়ে যান! এদিকে ঘুমের ঘোরে ” প্রেয়সী আমি তোমার প্রেয়সী” গান গাইতে থাকেন সোহেল খান! এতদিনে চাদনীর দুশ্চিন্তায় সোহেল খান সম্পুর্ন নেশাখোর ও প্রেম পাগল হয়ে যায়!
প্রতিশোধের আগুন জ্বলতে থাকে চাঁদনীর মনে! চাঁদনী জেল থেকে বেড়িয়ে তার মেয়ে ও বোনের হত্যাকারী দুলাভাইকে খুন করেন! এরপর সেই ওসিকেও শেষ করে দেন! বাঘিনী সাব্বাস।
তারপর চাঁদনী প্রেমের ফাঁদ সাজায়। সোহেল খানের উপর প্রতিশোধ নিতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাসায় চলে আসেন। চাঁদনী ভাবেন এখন পাগলকে মেরে আসল মজাটা পাওয়া যাবে না। এদিকে আশ্চর্য জনকভাবে প্রসেনজিৎকে সিনেমায় এন্ট্রি নিতে দেখা যায়! ওয়াও!! তিনি গান গাইতে থাকেন ” আমি আজ একা, আমি আজ একা আমার এই ভুবনে, কেউ নেই পাশে নেই”
চাদনী দীর্ঘদিন চেষ্টার ফলে বডি সোহেলকে, স্যরি সোহেল চৌধুরীকে আদর ও ভালোবাসায় পাগল থেকে সুস্থ করে করে ফেলেন! দারুন ব্যপার !!!
সুস্থ সোহেলকে একদিন সেই পাহাড়ে নিয়ে যায় চাঁদনী যেখানে তার স্বামীকে খুন করেছিলো সোহেল । প্রথমে বেধরক মাইর দেয়া হয়! চাঁদনী যখন সোহেলকে মারছিলো সেই মুহুর্তে তার স্বামী প্রসেনজিৎ এসে যুক্ত হন( দর্শকের হাত তালি আর শিস!!) প্রসেনজিৎ সোহেলকে মারতে মারতে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে চাঁদনী প্রসেনজিৎ কে থামায়! প্রসেনজিৎ চাঁদনীকে ধাক্কা মেরে সোহেলকে মারতে যায় এই দেখে সোহেল প্রসেনজিৎ কে বলে ” আমার চাঁদনীকে তুই মারলি ইয়া ডিসসুম”! চাঁদনীর চোখে দেখতে পাই সোহেলের জন্য প্রেমের চাঁদ! এদিকে সোহেল উঠে আবার ডিসসুম ডুসসুম করতে করতে প্রসেনজিৎ কে কুপকাত করে ফেলে! ঠিক এই সময়ে বডি সোহেলের দাদী গুলি করে সোহেলকে মেরে দেয়!! চাদনী দাদীকে তিরস্কার করে জিজ্ঞাস করেন কেন এটা করলেন? চাদনী আবার কাদেন! কাদতে কাদতে আবার খুশি হন। আবার প্রসেনজিৎ কে জড়ায়ে ধরেন! কি একটাবস্তা! মন ঠান্ডা করেন সবাই।
ijwan