আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা উপহার দিতেন। মালয়েশিয়ার চেয়ে উন্নত থাকতো এই দেশ। আর ডাইনি হাসিনা জুলাই-অগাস্টে কত মায়ের বুক খালি করেছে।পশ্চাপদ সেই ব্যাকওয়ার্ড দেশের লোকদের কাছে কুর্নিশ হয়ে তাদের খুশি রাখতে হাসিনা এদেশকে তলা বিহীন ঝুড়ি করে দিয়েছিলো। মেগা প্রজেক্টের নামে প্রতি নাগরিকের ঋণ ১৬৪,২২১ টাকা করে ফেলেছিলো। মেগা প্রজেক্টের সময় লক্ষ কোটি লুটপাট ও পাচার হয়। আওয়ামী লীগের সংসদেই বলা হয় পি.কে. হালদার ১০ হাজার কোটি ভারতে পাচার করে, বেনজির কত লক্ষ-কোটি পাচার করে, এস. আলম কত লক্ষ-কোটি পাচার করে।
আমি লন্ডন থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী ও আয়ারল্যান্ডের সরকারি চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজ দেশে বড় আশা নিয়ে ফিরে বছরের বছর পর বছর বেকার থাকতে হয়েছে। দেশি একটি কোম্পানি, একটি কর্পোরেটেও চাকরি হয়নি। বেশিরভাগগুলোতেই ভারতীয়দের হাছিনা চাকরি দিয়ে রেখেছিল। তাদের একেকজনের বেতন ৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। প্রবাসী শ্রমিকদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে (গড়ে যাদের বেতন ৩o থেকে ৩৫ হাজার টাকা করে) যে রেমিট্যান্স আসত তা আবার ভারতিওরা তাদের এদেশে বিলাশি চাকরির কারণে বিলিয়ন dollar এদেশ থেকে ভারতে পাঠিয়ে দিতো।
দীর্ঘ দিন বেকার থাকার পর শেষে আমি বাংলাদেশে পশ্চিমা বিদেশিদের ইকুয়াল অপর্চুনিটি পলিসিতে যেমন জাতিসংঘ ও একটি পশ্চিমা দূতাবাসে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে যথাক্রমে চাকরি পাই। ঢাকার রাস্তায় আমি অনেক মাস্টার্স পাশ করা ভাইদের পাঠাও চালাতে দেখেছি। এমনকি সৎ ছাত্র লীগ বন্ধু (কুষ্টিয়ার এক সময়ে হানিফ ভাইয়ের জিএস রানা ভাই) ২০২২ সালেও আমার কাছ থেকে ধার নিয়েছিল। সততার কারণে তিনি হাসিনার অসৎ গুলা আর ভারতীয়দের কারণে সুবিধা করতে পারেনি। আমি আরেক সৎ নেতা (কেন্দ্রীয় উপকমিটি, ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ) মেহেদী ভাইকে রিকশাতেই চলা ফেরা করতে দেখেছি। তিনিও অর্থ কষ্টে থাকতেন। আমার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা (১১ নং সেক্টর ফ্রন্ট কমান্ডার, তৎকালীন ঢাকা উনিভার্সিটির জহুরুল হকে হলের ভিপি) ১৯৭৪ সালে ভারত পরিচালিত রক্ষী বাহিনীর হাতে গুম হন। যাই হোক, হাসিনা যদি ভারতীয়দের চাকরি না দিয়ে ওই চাকরিগুলো লীগের দেশপ্রেমিক ও সৎ কর্মীদের দিতো তাহলে আজকে আওয়ামী লীগের এই ভরাডুবি হতোনা।