রাতের আঁধারে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেন সফর করলেন। এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন? আজ কেন তার ইউক্রেনের প্রতি দরদ উথলে পড়ছে? আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের এখlন থেকে শেখার ও জানার অনেক কিছু আছে। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ রাজনীতি সবসময় জয়ী ও সফল। এমনকি পলাশী যুদ্ধ থেকে শুরু করে নিপোলিওনের যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ কোনোটিতেই তারা হারেনি। মধ্যযুগে আমরা দেখেছি এমনকি প্রাচীন যুগেও যে বীরত্বের সাথে লড়িয়ে পক্ষ জয়লাভ করতো। যদিও কুটোকৌশলী, হিংস্র, অসভ্য ও বর্বর মঙ্গোল বাহিনী বীরত্বের পৃথিবীতে এক অন্ধকার শতাব্দীর শুরু করেছিল। মোঙ্গলদের পতনের পর পৃথিবীতে বীরবিক্রমে তুর্কি তথা অটোমান সাম্রাজ্য [উমাইয়া খেলাফত] প্রতিষ্ঠিত হয়। অটোমানকে শেষ করতে ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার শেষ ছিলোনা। পাঠকরা হয়তো এগুলোর অনেকটা চিত্রায়ন সুলতান আব্দুল হামিদ তুর্কি ড্রামা সিরিয়ালে দেখতে পেয়েছেন।
যা বলা হচ্ছিল, পৃথিবীতে বীরত্বের সাথে লড়িয়ে কিন্তু ইংরেজরা নয়। পলাশীর যুদ্ধে বাংলার স্বাধীনতা দুই শত বছরের জন্য নিভিয়ে দিতে এই ব্রিটিশরা কি কুটোকৌশল, ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার আয়োজন করেছিল তা সচেতন ইতিহাস পাঠকরা ভালো করেই জানেন। বীরত্বের যুদ্ধে আমরা তাদের ইতিহাসে খুব একটা দেখিনি বললেই চলে। কিন্তু তাদের হারতে হয়নি। তবে একথা সত্য যে ব্রিটিশদের উত্থান শুরু হয় মধ্য যুগের শেষ পর্যায় থেকে। পাক ভারত দখলে আনতে তারা ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রান্তে চলে এসেছিলো। এরপর প্রথম মহাযুদ্ধে তাদের জয় উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গিয়েছিলো। এমন এক সময় ছিল যখন বলা হতো ব্রিটিশ সূর্য অস্ত যায়না। আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধে ব্রিটিশদের জয়ী হবার পেছনের পয়েন্টগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ক্রমশ . .