- Advertisement -spot_img
Homeসমাজ ও নিরাপত্তাবাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা

বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের কমিটি ঘোষণা

তারুণ্যের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভিপি নূরের পতাকাতলে ইউনিট যোগ হল

- Advertisement -spot_img

বাংলাদেশে এই প্রথম গণতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে কাঠামোগত ও গণতান্ত্রিক চর্চায় দেশের পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে গত শনিবার ৪ সেপ্টেম্বর ৫৩ সদস্যের পেশাজীবীদের একটি রাজনৈতিক কমিটি ঘোষিত হলো । এটি আহবায়ক কমিটি দিয়ে যাত্রা শুরু করলো যার নাম ‘বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ’ যা ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধে তার পতাকাতলে সামিল হলো। ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ এই ব্যানারে অনুষ্ঠানটির প্রথম ভাগে আলোচনা সভা ও দ্বিতীয়ভাগে আহবায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। ভিপি নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাকজমকপূর্ণ এই ইভেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

অন্যান্য সম্মানিত অতিথি হিসাবে এই ইভেন্টকে যারা অলংকৃত ও স্বীকৃত করেন:-

– নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌল্লা, পরমশ্রেষ্ঠ, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ৯বম প্রজন্ম।
– ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ট্রাস্টি ও প্রতিষ্টাতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ। – প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, চেয়ারম্যান, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়।
– প্রফেসর ড. লতিফ মাসুম, সাবেক ভিসি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্যবিদ্যালয়।
– সোহেল চৌধুরী ছোট জমিদার, ম্যানেজিং ডিরেক্টর – KB TV, প্রকাশক – কালের সংবাদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর – কৃষিন গ্রপ।

– ইলিয়াস খান, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব।
– ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
– ফারহানা হক নীলা, সিনিয়র সাংবাদিক, এন্ড মনিটরিং অফিসার এফওই, আর্টিকেল নাইনটিন, বাংলাদেশ ও সাউথ এশিয়া।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বের আসন গ্রহণ করেন ভিপি নুরুল হক নূর, প্রধান সমন্বয়ক, বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, প্রবাসী ও শ্রমিক অধিকার পরিষদ। এরপর আসন নেন বিন ইয়ামিন মোল্লা, সদ্য কাউন্সিল ভোট নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও আরিফুল ইসলাম, সদ্য কাউন্সিল ভোট নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাশেদ খান (সাবেক আহবায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ), ফারুক হাসান (সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ), ও পেশাজীবী অধীকার পরিষদের নব নির্বাচিত যুগ্ম আহবায়ক খাদেমুল। ছাত্র নেতা ফারুক হাসান জোরালো ভাষায় বলেন, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শুধু ছাত্ররা আন্দোলন করলে হবেনা, আমরা পেশাজীবীদের আমাদের পাশে চাই। যারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন তাদেরও আন্দোলনে আমাদের পাশে চাই।

প্রধান অতিথি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি প্রফেসর আসিফ নজরুল তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। তারা তাদের বক্তব্যে দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরেন। ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারাতেই এ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাফল্য নিহিত থাকবে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই দেশ চালাচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের মদদপুষ্ট তথাকথিত ক্ষমতাজীবীরা মূল ধারার পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট নয়। ফলে সাধারণ পেশাজীবীরা আজ অধিকার হারা। তিনি আরো বলেন, পরিমনির জামিন মঞ্জুরের জন্য কোর্ট যেভাবে সক্রিয় সে তুলনায় মোদী বিরোধী আন্দোলনে রাজবন্দি ছাত্রদের মুক্তি দিতে কোর্ট কেন সক্রিয়তার অভাবে আছে তার জন্য পেশাজীবীদেরও আওয়াজ তুলতে হবে।

প্রফেসর আসিফ নজরুল তার বক্তব্যে এই নবগঠিত পরিষদের কাছে আশা করেন যে তারা বাংলাদেশের পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবেন যেখানে পেশাজীবীদের বর্তমান একটি সুবিধাবাদী ধারা সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে লিপ্ত। প্রফেসর আসিফ নজরুল তার একটি কথা পুনরাবৃত্ত করে বলেন ছাত্র অধিকার পরিষদ একটি বিস্ময় সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান, এবং বিস্ময়টি হচ্ছে একটি পসিটিভ বিস্ময়। আমরা অনেক নেগেটিভ চিত্র দেখি; আমরা দেখি রাতের বেলার নির্বাচন, বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক লুট হয়ে যায়, আবার দেখি এলিট একটি বাহিনী টহল করতে করতে একজন নায়িকাকে গ্রেফতার করে; এগুলো হচ্ছে নেগেটিভ শক। ছাত্র অধিকার পরিষদ সবসময় পসিটিভ ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করে, কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে ডাকসু নির্বাচন করে তারা পরিণত রূপ লাভ করে এবং সবশেষে তারা কাউন্সিল করে নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছে। এতো বড় বড় দল এতো বড় বড় কথা বলে অথচ তারা গত ৫০ বছরে একটি সুষ্ঠু কাউন্সীল করে দেখতে পারলোনা। আমরা আশা করি পেশাজীবী অধিকার পরিষদ একটি পসিটিভ বিস্ময় উপহার দেবে। প্রফেসর আসিফ নজরুল পরিষ্কার বলেনা আমরা মিথ্যার উপর ভাসছি, সব কিছুতেই মিথ্যা। আপনারা দেখেছেন, তারা বঙ্গবন্ধুর ছবি পাশে রেখে নিজেদের বৃহৎ ছবি সাজিয়ে ব্যানার রাজনীতি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনে ২টি পার্ট আছে। একটি হচ্ছে ১৪৭ থেকে ১৯৭২ এবং অন্য পার্ট হচ্ছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪। প্রথম ২৫ বছরের ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ সব ভালো কাজ করেছেনা। অপরদিকে শেষের ২ বছরে তিনি কিছু খারাপ কাজ বা ভুল করেছেন। আওয়ামী লীগ তার ২ বছরের খারাপ কাজ থেকে শিক্ষা নিয়েছে। আমরা তার ২৫ বছরের ভালো কাজ থেকে শিক্ষা নিবো। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর ভুল চেতনাকে ধারণ করে, আর আমরা বংগবন্ধুর সঠিক চেতনাকে ধারণ করি। আমি আপনাদের বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সাইনবোর্ডে নিয়ে এসে তা আত্মস্যাৎ করার রাজনীতি উপহার দিয়েছে তা থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত মহিমার উপর ভিত্তি করে রাজনীতি করার আহবান জানাচ্ছি। সবশেষে প্রফেসর নজরুল বলিষ্ঠ কণ্ঠে উচ্চারণ করেন আপনারা সাবেক ভিপি নূর বলবেননা, তাকে অগণতান্ত্রিক সরকার সাবেক বানিয়েছে। কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে তিনি এখনো ডাকসুর বর্তমান ভিপি। আপনারা তাকে সরাসরি ভিপি নূর বলবেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব সেক্রেটারি জনাব ইলিয়াস খান বলেন, আমাদের মাঝে উপবিষ্ট জনাব আসিফ নজরুল। তিনি জনগণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, গণমানুষের জন্য কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। আর এরই মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে সাহসী মানুষের প্রতীক হয়ে আলোচনায় এসেছেন আমাদের নূর। গণতান্ত্রিক নিয়ম ও চর্চা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সকল পেশাজীবীদের তিনি এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এ পর্যায়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি নুরুল হক নূর দেশের চলমান সংকট, সর্বত্র সেবামানের অধঃপতন ও এর উত্তরণে পেশাজীবীদের ভূমিকা তুলে ধরেন। ডাকসু ভিপি নুরুল হক ডাঃ জাফরুল্লার প্রবীণ বয়সে একই দিনে একাধিক পোগ্রামে অংশগ্রহণের শক্তিকে তরুণদের অনুপ্রেরণার উৎস বলে মনে করেন। তিনি উল্লেখ করেন দেশের রাজনীতিতে যে সংকট চলছে তা ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে উত্তরণ পাবেনা, কিন্তু উত্তরণ তখনি হবে যখন রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। বাস্তবিক অর্থেই রাজনীতি এখন অর্বাচীন, দুর্নীতিবাজ, দুর্বৃত্তদের হাতে; এবং এরাই এখন নেতৃত্বের একটা বড় অংশ দখল করে আছে। যেকারণে যারা ভদ্র, মার্জিত ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ তারা এখন রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছেন বা স্পেস পাচ্ছেননা। আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন অনেকেই এখন রানৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত হচ্ছেননা। এখন আমরা ভালো মানুষ, সমাজের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সৎ-সাহাসি মানুষদের যদি রাজনীতিতে জায়গা করে দিতে না পারি তাহলে এই দেশের রাজনীতিতে কোনো পরিবর্তন হবেনা। ক্ষমতার পালাবদল হতে পারে, কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবেনা। ভিপি নূর প্রশ্ন রাখেন ৯০ থেকে আজ পর্যন্ত এই ৩০ বছরে আমরা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এই বাংলাদেশে প্রচলিত করতে পেরেছি কিনা? আমরা নির্বাচন কমিশন, বিচারবিভাগ সহ রাষ্ট্রীয় ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করে কার্যকর করতে পেরেছি কিনা? আইনের শিক্ষক নজরুল স্যার এখানে আছেন। তার সামনেই বলছি, এই নির্বাচন কমিশন পৃথিবীর মধ্যে একটি কলকঙ্কিত নির্বাচন কমিশন। এই নুরুলহুদা কমিশন যারা একটি জাতির গণতন্ত্র ধারাকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। যে কারণে ২০১৪ সল্ থেকে একটি বিনা ভোটের মধ্য দিয়ে এদেশের গণতন্ত্র একটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যাবার যাত্রা শুরু করেছে। এখনো তা ডে বাই ডে এগিয়ে যাচ্ছে। দুই দুটো নির্বাচন হয়েছে, এখনো আমরা একটা গণআন্দোলন গড়ে তুলতে পারি নাই । অবাধ সুষ্ঠ কর্মসূচী জন্য, জনসম্পৃক্ততা বাস্তবায়নের জন্য এই বিনা ভোটার সরকারের উপর চাপ তৈরী করতে পারি নাই। অনেকেই বলে থাকেন আগামী বাংলাদেশ বিনির্মানে ছাত্রদেরকে সংগ্রাম করতে হবে, রাজপথে থাকতে হবে; কিন্তু আমি মনে করি তরুণদের উদ্দম আছে, তারুণ্য আছে, কিন্তু তার সাথে প্রবীণদের অভিজ্ঞতার দরকার আছে। কাজেই নবীন প্রবীণ সংমিশ্রনে যদি আমরা একটা কার্যকর রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেই, তাহলে তা পূর্ণতা পাবে। আপনারা সকলেই জানেন যে বর্তমানে যে বেহুদা নির্বাচন কমিশনার, কলংকিত নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশ ইতিহাসে আমরা যেমনবঙ্গবন্ধু হত্যার কারণে মোস্তাকের নামের উপর তঘৃণাভরে থুথু ফেলি, ঠিক একইভাবে এই নির্বাচন কমিশনের নামের উপর একসময় একটি ঘৃণার স্তম্ভ তৈরী হবে। এই কমিশনার জনতার দাবির অধিকারকে হরণ করেছে। এই নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, আগামীতে নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠিত হবে, আগামী নির্বাচীন কি প্রক্রিয়ায় হবে, সে ব্যবস্থা নিয়েও আমি মনে করি আমাদের সর্ব জায়গা থেকে কথা বলতে হবে। আমি মনে করি এক্ষেত্রে পেশাজীবীদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

শেষে, ভিপি নূর তার বক্তব্যের সারমর্মে বলেন, আমরা চাই রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনে কিছু করতে। যে কারণে এই প্রতিকূল সময়ে হামলা, মামলার পরেও আমরা ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিকদের নিয়ে শ্রমিক অধিকার পরিষদ গঠন করেছি। এবং আজকে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে পেশাজীবী অধিকার পরিষদ গঠন করতে যাচ্ছি। আমরা জানি পেশাজীবীরা যেভাবে ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখে ছিল। ডাক্তার মিলন সাহেবের কথা আমরা সবাই জানি। বিএম এর মহিউদ্দিন জালাল থেকে শুরু করে বিএনপির অনেক নেতা বিভিন্ন প্রফেশনের সাথে জড়িত ছিল, আইনজীবীরা তখন সক্রিয় ছিল, তাদের সেসময় যে সক্রিয় ভূমিকা ছিল, আজকে আমরা কিন্তু বর্তমান পেশাজীবীদের মাঝে সেই ভূমিকাটা দেখতে পাইনা। এ জায়গা থেকে আমি মনে করি যে আমাদের এই নতুন পেশাজীবী কমিটির নেতৃত্বে বর্তমান পেশাজীবীদের সেই ভূমিকায় অবতীণ হতে হবে। আমরা ঢাকা উনিভার্সিটির আসিফ নজরুলের স্যারের মতো আরো কিছু শিক্ষক দেখতে চাই। কারণ গুটি কয়েক শিক্ষক কথা বলে যাচ্ছেন কিন্তু আমরা আরো শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা ধরণের প্রতিবাদ ও কর্মসূচি আশা করছি।

এ পর্যায়ে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন তার বক্তব্যে পয়েন্ট আউট করেন যে পেশাজীবীদের নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন সার্বিক পেশার মানুষদের ভাগ্যউন্নয়েন একটি মাস্টারমাইন্ড। কমিটির নির্বাচিত যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর ইউসুফ বলেন নুরু ভাইয়ের আলোয় আলোকিত হয়ে তার পতাকাতলে পেশাজীবীরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরের মান উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়তে সোচ্চার। মিথ্যাবাদী মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে মিথ্যা কথা বলে থাকে। কিন্তু মোট সম্পদের পরিমাপের জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫ তম। ফেয়ার এমপ্লয়মেন্ট অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে নিয়োগ মানদন্ডে, নারীর সমানাধিকার ইত্যাদি নানা মানদন্ডে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ১০০ এর ঘরের নিচে। কিন্তু পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কলঙ্ক ও মিথ্যাচার মুক্ত করতে কাজ করে যাবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন সোনার বাংলার জন্য নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা, তিতুমীরসহ শহীদেরা প্রাণ দিয়ে গেছেন। সোনার বাংলা পুনরায় অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ নবাব সিরাজুদ্দৌলার নবম প্রজন্ম নবাবজাদা আলী আব্বাসউদ্দৌল্লা এখানে এসেছেন ভিপি নূরের নেতৃত্বের দলকে উৎসাহিত করতে। এজন্য আজ আমরা একটি আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার জন্য অনুপ্রাণিত।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত অতিথিদের মাঝে এই নতুন দলের ঘোষণাপত্র বিতরণ করা হয়। ঘোষণাপত্রে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর পেশাজীবীদের সুসংগঠিত করে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় মুখ্য ভূমিকা হবে বলে ঊল্লেখ করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল নির্বাচিত নেতাদের নাম ঘোষণা। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের সভাপতিত্বে সর্বসম্মতিক্রমে আহবায়ক নির্বাচিত হয়েছেন জনপ্রিয় ডেন্টিস্ট মো. জাফর মাহমুদ এবং সদস্য সচিব নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের আপোষহীন নিজাম উদ্দিন। নির্বাচিত আহবায়ক জাফর মাহমুদ দীপ্ত কণ্ঠে বলে উঠেন ভিপি নূরের মধ্যে আমরা তরুণ নেতৃত্বের সকল গুনাগুন দেখতে পাই। নুরু ভাই থাকবেন আমাদের আগামী বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে ও সুস্থতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি ঘোষণা করেন পেশাজীবী ভাইদের ভালোবাসায় আমি আহবায়কের যে দায়িত্ব নিয়েছি তাতে এদেশের পেশাজীবীদের অধিকার আদায়ে আপনাদের সহযোগিতায় লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারার আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

পেশাজীবীরা দেশে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি করে উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন। অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকবেন। মিলেমিশে একতাবোধ জাগ্রত করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে একটি উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে ভিপি নূরের অগ্রযাত্রায় বিশেষ সহায়ক হবে এই প্রত্যাশায় অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here