ক্ষমতাসীনেরা উন্নয়নের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ধুম্রজালে রেখেছি কিনা সে প্রসঙ্গে না গিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষণা সংস্থার তালিকায় দেখা যাক বাংলাদেশের অবস্থান। যদিও ক্ষমতাসীনেরা যে কথাটি বলে বেড়ান সেটা এখানে উল্লেখ না করলেই নয় যে বাংলাদেশ নাকি জিডিপির বৃদ্ধিতে পৃথিবীর সেরা ১০ দেশে আছে, কিন্তু এ তালিকা সত্যিকার উন্নয়নের চিত্র নয়, এবং জিডিপির বৃদ্ধি জনগণের ক্রয়ক্ষমতাকে বুঝায়না। জিডিপির রেটে যদি বার্ষিক আয় একজন নাগরিকের করে ২০০০ ডলার হলে প্রশ্ন হচ্ছে কেন রাস্তায় শত শত মানুষ এখনো কেন বস্তু হারা অবস্থায় রাত্রি কাটায়, কেন দেশে বেকারের সংখ্যা কোটির ঘরে?
মোট জিডিপি মানে মোট সম্পদের তালিকায় Global Finance নামক সংস্থার প্রকাশনায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৮ এর ঘরে দেখা যায়। শুধু যে মোট সম্পদের পরিমাপে বাংলাদেশ আজ ১০০ এর নিচের দেশে পরে আছে তাই নয়, অন্যান্য সূচকেও তলানির সারির দেশগুলোর সাথে আছে। শিক্ষা এই কনটেক্সটে বাংলাদেশের মান হতাশাজনক। worldpopulationreview.com এর র্যাংকিং তালিকায় ৭৮ টি সেরা দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। আবার এই গবেষণা সংস্থার পৃথিবীর সুস্থ দেশের তালিকা বাংলাদেশনেই যেখানে সমালোচিত সার্বিয়া ও সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার এক অক্ষত দেশ চিলির নাম রয়েছে। ভ্রমণ ও টুরিজম বাণিজ্য নিয়ে কাজ করে www.indexmundi.com এই সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ তম। আবার www.forbes.com এর মতো সংস্থার রেংকিংয়ে বেবসাবান্ধব দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর বাইরে [১০৯ তম]. এই ফোর্বস এর নিরাপদ দেশের রেংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪ তম। আবার শান্তির দেশের রেংকিংয়ে en.wikipedia.org এর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৯১ তম। সবশেষ, স্বাস্থ্য খাতে সেবার মানের রেংকিংয়ে worldpopulationreview এর তালিকায় বাংলাদেশেকে দেখা যায় ১২৫ এর ঘরে যা অন্ধকারের মহাদেশ নাম পরিচিত আফ্রিকার অনেক দেশের তুলনায় নিম্নতর। এভাবে অনেক সূচকে ও সেবা মানে বাংলাদেশের তালিকা সেরা ৫০ বা ৭০ এও নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছরে পূর্তিতে আর বাকি সূচকের নাম ও প্রসঙ্গ নাইবা তুলে ধরা হল। বরং ভালো কিছু সামনে আসবে এমন প্রত্যাশাই শ্রেয়।