বিমানগুলোতে আসলে ২টি বক্স ইনস্টল করা থাকে যাকে আপনারা ব্ল্যাক বক্স নামে চিনেন বা জেনে থাকেন :
- একটি বাক্স হচ্ছে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, যা ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ এবং ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সের নির্দিষ্ট পরিমিতিগুলির তথ্য সংরক্ষণ করে।
- আর অন্যটি বক্সটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, যা পটভূমির শব্দ এবং ক্রু সদস্য ও বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে কথোপকথন রেকর্ড করে। ব্ল্যাক বক্সটি আসলে মোটেও কালো নয়। ধ্বংসস্তূপে এটিকে সহজে খুঁজে পাবার জন্য একে উজ্জ্বল কমলা রঙ করা হয়ে থাকে।
ব্ল্যাক বক্সটি সাধারণত প্লেনের লেজে ইনস্টল করা থাকে যা সাধারণত বিমানটির শেষ অংশ হয়ে থাকে l
বিধ্বস্ত হওয়ার পরেও ব্ল্যাক বক্স যেভাবে অক্ষত থাকে :
ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে থাকা ডাটা রেকর্ডার “এফডিআর” টাইটানিয়াম বা স্টেইনলেস স্টিলের মধ্যে ডাবল করে জড়িয়ে দেয়া থাকে এবং অবশ্যই সাংঘাতিক পরিস্থিতির অবস্থা রোধে করতে সক্ষম হয় । মেমোরি বোর্ডস, সিএসএমইউ, সহ গুরুত্বপূর্ণ অংশটি একটি ২২৭ কেজি ওজনের বর্ম-আবরণের ভিতরে থাকে, যা বিমানে install করার আগে পিষে ফেলে, এক হাজার একশ ডিগ্রি সেলসিয়াস আগুনের দিয়ে, চাপযুক্ত লবণের জলের ট্যাঙ্কে নিমজ্জিত করে, জেট জ্বালানিতে নিমজ্জিত করে এর ধবংসহিনতার শক্তি পরীক্ষা করা হয় ।
গভীরসমুদ্রে বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাকবক্স যেভাবে সন্ধান করা হয়:
ব্গভীর সমুদ্রে বিমান বিধ্বস্ত হলে ব্ল্যাক বক্স কিভাবে খোঁজা হয়: ব্ল্যাক বক্সগুলিতে একটি আন্ডার ওয়াটার বিকন লাগানো থাকে। বিধ্বস্ত হয়ে বিমান সমুদ্রে ডুবে গেলে যদি সেন্সরটি পানি স্পর্শ করে তবে তা একটি pulse নির্গত (“পিং”) করতে শুরু করে। প্রতি সেকেন্ডে ১ বার করে “পিং” হয় যা প্রায় ১ মাস যাবৎ করতে থাকে। এরপর উদ্ধারকারী দল গুণ টানা পিঞ্জার লোকেটারের সাহায্যে বিম বা কিরণ নির্গত সেই “পিং” পালসকে সনাক্ত করে। তবে মনে রাখা দরকার, সাধারণত ১ মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলে এরপর আর বিকনের সাহায্য নেয়া হয়না। তখন অন্য পন্থা ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া বিমান সন্ধান করার কাজ করা হয়।