- Advertisement -spot_img
HomeUncategorizedবিশ্বনবী রাসূল সা: এর বিদায় হজের ভাষণ ও মধ্যপ্রাচ্যের শেখ ও আমির...

বিশ্বনবী রাসূল সা: এর বিদায় হজের ভাষণ ও মধ্যপ্রাচ্যের শেখ ও আমির গং

- Advertisement -spot_img

রাসূলুল্লাহ (সা:)র নির্দেশ সবচেয়ে বেশি পালন করে ইরান, বসনিয়া, চেচনিয়া ও আফগানিস্তান । অসভ্য আরবরা সবচেয়ে পাপী, অগণতান্ত্রিক। বাংলাদেশিরা আরবে চাকরি করতে গেলে কেমন বেবহার করে তা সবারই জানা। এমনকি অনাহারে, অর্ধাহারে থাকা হতদরিদ্র রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়ায় অনারব ও গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব। মধ্যপ্রাচ্যের শেখেরা যে টাকা দিয়ে দক্ষিণ ভারতীয় নায়িকাদের ও দক্ষিণ আমেরিকার মডেল ও এসকর্ট গার্লদের ভাড়া করে সে টাকা দিয়ে রোহিঙ্গ্যারা ১ বছর পেট ভোরে খেতে পারে। মালদ্বীপে প্রিন্স সালমান যে টাকা দিয়ে মালদ্বীপে ৩ দিন বেপি হলিউডের মডেলদের নিয়ে ফুর্তির ইভেন্ট করে সেই টাকা দিয়ে প্রতিবছর বন্যায় তলিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের একাংশ রক্ষা করতে ফারাক্কার বিপরীতে বাঁধ নির্মাণ করা যায় l

শুধু তাইনা, মধ্যপ্রাচ্যের শেইখ ও আমিররা দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলো থেকে অল্প বয়স্ক বা সুন্দরী নারী নিয়ে যাবার জন্য ঘৃণ্য মানব পাচারকারী দালাল চক্রের লালনকারী। তাদের পৃষ্টপোষকতায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা মধ্যপ্রাচ্যের আমিরদেড়টা কাছে অসহায় নারীদের পাচার করে। যেসব দরিদ্র নারীরা অর্থের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির আশায় যায় তাদের কাউকে কাউকে শেইখ ও অমরদের বাড়িতে বন্দি গৃহ দাসী করে রাখা হয়, তাদের নিম্নতম মানবিক অধিকার বঞ্চিত রাখা হয়, ঠিকমতো খাবার দেয়া হয়না, তাদের দিয়ে গৃহস্থালির কাজ করেই আবার যৌন দাসী হিসাবে বেবহার করে পাপিষ্ঠ শেইখ ও আমিররা।

Attribution: thanks shouted to Adam le Sommer on https://twitter.com/EyeDhaka/status/1702229852458476008

বিদায় হজের ভাষণে যে সমধিকারের কথা বলা হয়েছে সেটি সাংস্কৃতিকভাবে মধ্য প্রাচ্যের লোকেরা ভঙ্গ করে। তারা মনে করে মধ্য প্রাচ্যের বাইরের মুসলিমরা তাদের চেয়ে মানুষ হিসাবে ছোট। তারা মাস্টার রেইস। তারাই উত্তম জাতি। তারাই শ্রেষ্ট মুসলিম। বরং তাদের কাজ ও বেবহার প্রমান করে যে তারা জঘন্য ও নিকৃষ্ট মুসলিম। আরো একটি অভিযোগ যা না বললেই নয় যে তারা মনে করে খেলাফত শুধু তাদের জন্যই ও ইসলাম ধর্মের দায়িত্ব ও গার্ডিয়ানশিপ শুধু তাদেরই দেয়া হয়েছে বা তাদেরই প্রাপ্য। যদি তাই হয় তাহলে তারা ঠগ ও তাতে চরমভাবে ব্যর্থ। আর বিদায় হজের ভাষণ দ্বারা যেহেতু তা সঠিক নয় তাই দেখা যায় সেল্যুকদের হাতে ও পরবর্তীতে অটোম্যানদের হাতে। এতেও তারা বদমায়েশি করতে ছাড়েনি। শেষ অটোমান খেলাফতকে ভাঙতে সৌদি শেখরা তৎকালীন ভয়ানক বিদেশী বহিরাগত গোয়েন্দা লরেন্সের সাথে হাতের মেলায় ও খলিফার প্রধান শত্রুদেশ থেকে উক্ত গোয়েন্দার নেতৃত্বে অস্ত্র সরবরাহ গ্রহণ করে ও দিকনির্দেশনা গ্রহণ করে। এবং এই সৌদি শেইখদের বিষাঘাতকতায় ও লরেন্সের নেতৃত্বে খেলাফত ভাঙার বিদ্রহযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় কাফেরদের আরবে ঢুকার ও তেল সম্পদ হাত করে নেবার পথ দেখায় ও পথ করে দেয়। এরপরের ধারাবাহিক ঘটনা প্যালেস্টাইন ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ নীল নদ তথা সুয়েজ খাল খলিফা তথা মুসলিমদের হাত ছাড়া হয়ে যায়। সুয়েজ খালের সংকট বহু কাল মুসলিম বিশ্বকে ভুগায়।

সুয়েজ খাল নিয়ে শেষ যুদ্ধে পরাজিত মুসলিমদের একটি ট্যাংক
Attribution:- United States Army Heritage and Education Center, Public domain, via Wikimedia Commons

মহান প্রভু আল্লাহর ইচ্ছায় এখন পশ্চিমা বিশ্বের গণতন্ত্রীমনা পশ্চিমারা সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ইসলাম গ্রহণ করছে। নব্য মুসলিম ব্রিটিশ নাগরিক আব্দুল হেকিম মুরাদ স্যার কারবালার রিদয় বিদারক ঘটনার প্রেক্ষিতে যে Hymn https://www.youtube.com/watch?v=BI9dQ9zZqTE গেয়েছেন আরবরা ৫০০ বছরেও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ন্যায়ের মুসলিম নায়ক হজরত হুসেইন রাঃ প্রতি সেই অন্তরের আকুলতা প্রকাশ প্রকাশ করতে পারেনি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here