কেউ যদি মহাকাশে মৃত্যুবরণ করে তাহলে তার দেহ নষ্ট হবেনা, গলবেনা বা পচে যাবেনা। খুব সম্ভব অবিকলই থাকবে যদি তা না অন্য মানুষের দ্বারা স্পর্শিত হয় বা মানুষ বা স্পেস শিপ এর কারণে তা পানি বা অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে।
কারো মৃতদেহ যদি আলোর তাপের নাগালে পরে তাহলে তা মমিফাইড হয়ে যেতে পারে যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে মানে থার্মোসফিয়ারের বাইরে এক্সসফিয়ারের কারো মৃত্যু উপরে হয়। আর সম্ভাবনাই অত্যধিক কারণ রকেটের এর বাইরে যাওয়া মামলিক ব্যপার বা ঘন্টার কম সময়ের ব্যেপার। এক্ষেত্রে এ সম্ভাবনাও কম যেহেতু আপনার মৃত্যু সূর্যালোক থেকে বহুক্রোশ দূরে হয়।
পৃথিবীর স্ফিয়ারের বাইরে অন্তত কয়েক আলোক বর্ষের মধ্যে বা মানব তৈরী যানের কয়েক হাজার বছরের রকেটের গতির মধ্যে সূর্যের বা অন্য তারার আলো এসে পড়লেও তাতে তাপ নেই । অপরদিকে অক্সিজেনতো দূরের কথা বাতাস বলতে কিছু নেই। আর পানির প্রশ্নই আসেনা। এমনকি কয়েক আলোক বর্ষের মধ্যে বা মানব তৈরী যানের কয়েক হাজার বছরের রকেটের গতির মধ্যে ধুলো-বালি, অন্যান্য গ্যাস বা রাসায়নিক কিছুই নেই। হলিউডের সায়েন্সফিকশন ছবিতে যে অনেক সময় দেখা যায় যে তাদের স্পেস শিপ চলার পথে হটাৎ ঘন ঘন পাথর খন্ড, রকি-বরফ খন্ড, স্টেরইড, মেটিয়র্স ইত্যাদি এসে পড়ছে, খুব বাধার সৃষ্টি করছে তা আসলে কাল্পনিক। বাস্তবে উপরের পদার্থগুলো এভাবে লাইন ধরে আসেনা। আউটার স্পেস এতো বিশাল যে তা মানুষের কল্পনার অতীত। উপরের পদার্থগুলো আউটার স্পেসে থাকলেও তা অত্যন্ত তা এতো দূরে থাকে যে ওগুলো নিয়ে স্পেস শিপ বা প্রোবগুলোর অসুবিধে হয়না।
এই ভুপৃষ্ঠেই শুধু এগুলো আছে। অন্য নিকটবর্তী মানে সৌর গ্রহগুলির একটিতেও এগুলো নেই। তবে তবে সৌর জগতের অন্য গ্রহগুলোর পৃষ্ঠের উপরে কারো মৃত্যু ঘটলে অন্য গ্যাস এর কারণে বা তরল রাসায়নিক পদার্থের কারণে কারো মৃতদেহ মমিফাইড নাও হতে পারে বা অবিকল নাও থাকতে পারে।
আমরা Battle Star Galactica, Star Trek, Saturn-3 ইত্যাদি হলিউডের ছবিগুলোতে দেখেছি কাল্পনিক স্পেস শিপ-এ মানুষ অনন্তলোকে চলে যায়। সেসব জায়গায় মৃত্যুর কথা বলছি। অপরদিকে, বৈজ্ঞানিকভাবে মানুষ এই সৌর জগতের বাইরে পা রাখতে পারেনি যেখানে অন্য তারাগুলোর গ্রহজগতে পৌঁছতে মানুষের তৈরী সর্বদ্রুতগতির যান VOYAGER 1-এর লাগতে পারে ৫০ হাজার বছরেরও বেশি সময়।