- Advertisement -spot_img
Homeইতিহাস ও নিরাপত্তাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের জার্মানিতে কেন শেষপর্যন্ত পারমাণবিক হামলা হয়নি?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের জার্মানিতে কেন শেষপর্যন্ত পারমাণবিক হামলা হয়নি?

- Advertisement -spot_img

আমেরিকা যখন নিউ-মেক্সিকোতে পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করে ফেলে, তখন ইতিমধ্যে হিটলারের নাজি জার্মানি মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে ফেলেছে। এরপর জার্মানিতে বোমা ফেলার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় l এরপরও যদি আমেরিকা জার্মানিতে বোমা ফেলতো, তাহলে ওখানে জার্মান শহরগুলো দখল করে রাখা মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর বন্ধু সৈন্যরাই মারা যেত l তাহলে, এটা হতো ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ও সামরিক বোকামি।অন্যদিকে জার্মানির আরেক পক্ষশক্তি (ইতিহাসে যা অক্ষশক্তি নামে পরিচিত) জাপান তখনও মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলো । আর জাপানেরই সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল আমেরিকা । তাছাড়া জাপানই আমেরিকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছিল (যেমন: শুরুতে আমেরিকার বৃহত্তম নৌঘাঁটি পার্ল হারবারে অকস্যাৎ কাপুরোষিচিত বিমান হামলা করে জাপান শতাধিক জাহাজ-সামরিক স্থাপনা ধ্বংস ও বহু সৈন্যর মৃত্যু ঘটায়)।

নিম্নের ছবি: ইউরোপ জার্মানিকে পরাজিত করার পর আমেরিকার সৈন্যরা

নিম্নের ছবি: ইউরোপে মিত্রদের বিজয় উদযাপনের জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ভারী এন্টি-এয়ারক্রাফট সালভ ছুড়ে

যুদ্ধের শেষ দিকে জার্মানি আত্মসমর্পণ করলেও জাপান মরিয়া হয়ে লড়ছিল l জাপান মরণ কামড়ের নেশায় মত্ত হয়ে উঠে । জাপানি বৈমানিকের ওসামা বিন লাদেনের আল কায়েদার পদ্ধতিতে (Suicidal Air Mission) বিমান উড়িয়ে নিয়ে সেই বিমান আমেরিকার নৌবহরগুলুতে ভূপাতিত করার মধ্য দিয়ে আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছিল। এ অবস্থা মার্কিন সমরবিদদের ভাবিয়ে তুলে । তাছাড়া যদিও সেই শেষ পর্যায়ে জাপানকে আমেরিকার নৌবহরগুলু ঘিরে ফেলেছিলো কিন্তু নৌবহরগুলুতে থাকা মেরিন সৈন্যরা জাপানের মাটিতে ল্যান্ড করতে পারছিলোনা । আর ল্যান্ডিং ছাড়া যুদ্ধ জয়ের পতাকা উড়ানো সম্ভব হয়না । আর জাপান কোনো ভাবেই আত্মসমর্পণ করছিলোনা । অপরদিকে আত্মঘাতী হামলা মার্কিন ক্ষতি ও সৈন্য ক্ষয় বাড়িয়ে চলছিল । এ থেকে উত্তরণের এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ ভয়ঙ্কর যুদ্ধের ইতি টানার জন্য US President হারি ট্রুম্যান জাপানে পারমাণবিক বোমা ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।মার্কিন B2 বিমান থেকে যথাক্রমে ৬ ও ৯ আগস্টে (১৯৪৫) জাপানের উপর দুটি শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা ফেলে শহর দুটিকে ধুলোয় পরিণত করে । নিমিষে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে, পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের হাজারো মানুষের শরীর আগুনে ঝলসে যায়, রেডিয়েশন বিক্রিয়ায় দেহ বিকৃত বা পঙু হয়ে যায় । এরপরই ১০ অগাস্ট (১৯৪৫), জনগণের অসহনীয়তার কথা ভেবে জাপান সম্রাট হিরোহিতের সিদ্ধান্তে জাপান সরকার আত্মসমর্পনের ঘোষণা দেয় ।

নিম্নের সুমিটারু তানিগুচির পিঠের আঘাতের এই ছবিটি ১৯৪৬ সালের জানুয়ারিতে একজন ইউএস মেরিন ফটোগ্রাফার তোলেন।

নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া শিশু তানিগুচিকে ২ দিন পর উদ্ধার করে পরবর্তীতে অমুরা নেভি হাসপাতালে ৭ মাস চিকিৎসা করে সুস্থ করা হয় l

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here