- Advertisement -spot_img
Homeবিজ্ঞান ও আকাশসূর্যের কাছাকাছি নক্ষত্রের একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যা বাসোপযোগী হতে পারে

সূর্যের কাছাকাছি নক্ষত্রের একটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে যা বাসোপযোগী হতে পারে

- Advertisement -spot_img

গ্রহটির নাম প্রক্সিমা সেন্টাউরি-বি। এটি সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি প্রায় ৪ আলোক বর্ষ দূরত্বে অবস্থিত প্রক্সিমা সেন্টাউরি নামক নক্ষত্রের একটি গ্রহ। যদি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকে তবে গ্রহটি এমন একটি কক্ষপথে রয়েছে যেখানে গ্রহটির উপরিভাগে তরল পানি থাকার সম্ভবনা রয়েছে যেহেতু এটির পৃষ্ঠভাগ যথেষ্ট গরম । দক্ষিণ আমেরিকার চিলিতে স্থাপিত ‘Pale Red Dot project’ -এর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে গত ২০১৬ সালে গ্রহটির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। এরপর একে একে ক্রমাগত পর্যবেক্ষণে গ্রহটির সম্মন্ধে সম্ভাবনাময় অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে।

বিজ্ঞানের ভাষায় এটি এক্সোপ্ল্যানেট হিসাবে উদ্ধৃত হয়। বলা হয়ে থাকে মানব সভ্যতা যদি বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় আরো অনেক উন্নতি সাধন করে এবং গ্রহটির ৪ আলোক বর্ষ দুর্রত্ত্বকে আরো অনেক বেশি উন্নত রকেট চালিত স্পেসশিপ দিয়ে ৪ বছরে না হোক ১০ থেকে ১৫ বছর সময়েও যদি ওখানে পৌঁছতে পারে, তাহলে বোধহয় চাঁদের পরে এটাই হবে মানুষের যোগ্যতার বাইরে দ্বিতীয় পদচারণা।নিম্নে শিল্পীর ধারণায় প্রক্সিমা সেন্টোরি-বিকে একটি শুকনো (তবে সম্পূর্ণ পানিমুক্ত নয়) পাথুরে সুপার-আর্থ হিসাবে দেখানো হয়েছে। এই উপস্থিতি এই এক্সোপ্ল্যানেটের বিকাশ সম্পর্কিত বর্তমান তত্বগুলির একাধিক সম্ভাব্য ফলাফলগুলির মধ্যে একটি, যখন গ্রহের আসল চেহারা এবং কাঠামো এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি । প্রক্সিমা সেন্টাওরি বি হ’ল সূর্যের নিকটতম এক্সোপ্ল্যানেট এবং পাশাপাশি সম্ভাব্য বাসযোগ্য এক্সপ্লানেটও। এটি প্রক্সিমা সেন্টাউরির প্রদক্ষিন করে, এটি একটি লাল বামন যার পৃষ্ঠতল তাপমাত্রা 3040 কে (এইভাবে হালকা বাল্বের চেয়ে উষ্ণতর এবং তাই এখানে বর্ণিত হিসাবে শুভ্র)। আলফা সেন্টাউরি বাইনারি সিস্টেমটি পটভূমিতে দেখানো হয়েছে:

গ্রহটি প্রক্সিমা সেন্টাউরি নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে থাকে ঠিক যেমন পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে থাকে। যদি মানুষের আবিষ্কৃত কোনো উন্নত রকেট চালিত স্পেসশিপ আলোর গতির ২০ ভাগের ১ ভাগ লাভ করে থাকে তাহলে অন্তত ২০ বছর সময় লাগবে পৃথিবী থেকে এই গ্রহটিতে পৌঁছতে। আর সেই স্পেসশিপ থেকে কোনো মেসেজ পাঠালে পৃথিবীতে পৌঁছতে ৪ বছর সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, মেসেজ পাঠানোর গতি মানুষ ইতিমধ্যে আলোর গতিতে পাঠানোর কৌশল রপ্ত করেছে এই একবংশ শতাব্দী শুরু হবারও ৩০ বছর আগে। পৃথিবী থেকে প্রেরিত মানুষের এযাবৎকালে উদ্ভাবিত সবচেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন স্পেসক্রাফট ভয়েজার-১ যা কিনা সেকেন্ডে ১৭ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয়, সেই ভয়েজার-১ যা এই মুহূর্ত থেকে (এখন ৬ জুনের ২০২১ এর রাত প্রায় সাড়ে ৮ টা) থেকে ৪৩ বছর ৯ মlস ১৫ দিন ১১ ঘন্টা আগে মহাকাশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়ে এখন সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৪ শত ১৬ কোটি ৩২ লক্ষেরও বেশি মাইল দূরে চলে গেছে সেটি পৃথিবীতে বার্তা পাঠায় আলোর গতিতে এবং তা আসতে ১৯ ঘন্টা সময় লাগে।

আশ্চর্যের একটি বিষয় হচ্ছে, এই গ্রহ প্রক্সিমা সেন্টাউরি-বি ২০১২ সালে একবার টেলিস্কোপে ধরা পড়েছিল। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা তা হারিয়ে ফেলে। তখন এই বলে উপসংহার টানা হয় যে মহাজাগতিক শোরগোলের তথ্য এবং তারার নিজস্ব ক্রিয়াকলাপে প্রক্সিমা সিস্টেমের বা পরিবারের একটি তারাই গ্রহের ছদ্দাবরণ ধারণ করেছিল।

আমাদের সৌরমন্ডলের মঙ্গল গ্রহের চাইতেও পৃথিবীর সাথে অধিকতর মিলবিশিষ্ট প্রক্সিমা সেন্টাউরি-বির উপাত্তগুলি প্রমাণ করে যে এটি পৃথিবীর ভরগুলির 1.3 গুণ এবং তারা প্রক্সিমা সেন্টাউরিকে প্রদক্ষিণ করতে ১১.২ দিন সময় নেয় এবং এরকম একটি প্রদক্ষিণ এটিকে এমন অঞ্চলে রেখে দেয় যেখানে তারার (যার আলো লাল বর্ণের যা সূর্যের চেয়ে দুর্বল) আলো এটির উপরিপৃষ্ঠকে পানি প্রবাহিত রাখতে যথেষ্ট উষ্ণ রাখে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here