ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে যারা বেড়ে উঠতে দেয় নি, পরবর্তীতে যারা নষ্টদের মদদ দিয়ে গেছে, যারা অভিনেতা অভিনেত্রীদের দিয়ে দালালী করিয়েছে, যারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে তাদের ছোটবেলার নষ্ট চিন্তা দিয়ে পরিমাপ করেছে তারাই আজ ক্ষমতায়! তারা দীর্ঘদিন ধরে সাংস্কৃতিক অংঙ্গনকে রুগ্ন করে রাখার ফলে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে ক্যান্সার। সৃষ্ট ক্যান্সার সেকেন্ড স্টেজে আছে, কেমো দিয়ে কি তা সারানো যাবে? যাবে না। তেমনি জ্বীনদের বাদ দিয়ে পরীদের ধরে কি শুদ্ধি অভিজান সফল হবে? হবে না। এখানে স্পষ্টত জ্বীনদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। পরীরাই আজ ক্যান্সার। এই ইন্ডাস্ট্রির আর কিছু অবশিষ্ট নেই থাকলে এভাবে দুনিয়া ব্যাপি লোক জানান দিয়ে অভিজান পরিচালিত হতো না। সামান্য কমনসেন্স থাকলে বুঝতে কষ্ট হয়না এই শিল্পটাকে আর বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা উপর মহলের নেই। ফলে আজকের ঘটনা দুনিয়ার সকল মিডিয়া কভার করলেও অপরিনামদর্শী কর্তৃপক্ষ কিচ্ছু গায়ে মাখছে না। কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ার এক জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীর সুইসাইডের পর সরকার নড়েচড়ে বসেছিল। তদন্তের পর শিল্পী সমাজের গঞ্জিকা লেনদেনের মতো অনেক কদর্য সামনেও এসেছিল। কিন্তু ওদের দ্বায়িত্বশীল ও সংস্কৃতি বান্ধব রাষ্ট্র ওসবকে ওখানেই ধামাচাপা দিয়েছে! কারন ওদের কাছে ওটা আত্মসম্মান, সংস্কৃতির অংশ, বিজনেস, টাকা, গর্ব, আর একটা বিপ্লব — যা দিয়ে অন্য রাষ্ট্রের উপর রাজত্ব কায়েম করা যায়!! ইন্ডিয়ানরা জানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে এরাবিয়ান ভাষাকে কিভাবে হিন্দি ভাষা দ্বারা ডমিনেট করা যায়!!!
এখন আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। অনেক হয়েছে। আমাদের হারানো গৌরব নায়ক রাজ্ রাজ্জাকের গৌরবগাথা তরুণ সমাজের দিকে তুলে ধরতে হবে. যারা বয়ুজেষ্ট তারা পারেন এ কাজটি করতে। আজ ফেইসবুক তাদের হাতের মুঠোয়। নায়ক রাজের পাশাপাশি সর্বকালের সেরা স্মার্ট নায়ক দ্রুভ তারা জাফর ইকবালের মতো নায়কের অভিনয়গাথা তরুণ সমাজের সামনে প্রচার করতে পারেন। অন্যদিকে আরো আছে উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদাহরণ দেবার জন্য নায়ক উজ্জ্বল, জেন্টলম্যানের সর্বকালের মডেল আইকন নায়ক বুলবুল আহমেদ, আরো আছে অভিনয় নৈপুণ্যের সিংহপুরুষ নায়ক রহমান, এবং আরো আছে সদ্য প্রয়াত হীরকপ্রতিভা নায়ক মান্না ও নায়ক সালমান শাহ।
ছবি- নায়ক জাফর ইকবাল ১৯৬০ সালে তার বোন সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহর সাথে:
attribution: Unknown author, Public domain, via Wikimedia Commons
হতাশ হয়ে আমরা শেষ হয়ে গেছি ভাবলে আমাদের ভুল হবে, বরং সেসব মহানায়কদের কথা মনে করে আমাদের নতুন করে প্রেরণা নিয়ে বিশ্ববেপী প্রভাব বিস্তারকারী আলোড়নসৃষ্টিকারী সুন্দর অপূর্ব কিন্তু একটি কালিমাহীন নতুন গৌরবময় ইন্ডাস্ট্রি গড়তে হবে। আর এজন্য দরকার জ্ঞানভিত্তিক, স্বকীয়তায় উন্নত, সুরুচিপূর্ণ, কৃষ্টি ও শিল্পের উৎকৃষ্টতার পৃষ্ঠপোষকতার ও সাপোর্টের। মহান জহির রায়হানদের মতো নতুন পৃষ্টপোষকরা যেন নিজ থেকেই এগিয়ে আসেন এবং আমাদের সচেতন সমাজ ডিসাইন, টেকনোলজি, স্ক্রিপ্ট, অর্থ, প্রচার, ও অন্নান্য কাঠামোতে সাপোর্টার রূপে এগিয়ে আসলে অসাধ্য সাধন আর অনাগত থাকবেনা।
attribution: Belayet2014, CC BY-SA 4.0 https://creativecommons.org/licenses/by-sa/4.0, via Wikimedia Commons