বাংলাদেশ শুধু যে মোট সম্পদের পরিমাপে আজ ১০০ এর নিচের দেশে পরে আছে তাই নয়, অন্যান্য সূচকেও তলানির সারির দেশগুলোর সাথে আছে। শিক্ষা এই কনটেক্সটে বাংলাদেশের মান হতাশাজনক।বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়নের মানের হতাশাজনক চিত্রের মতো শিক্ষা ক্ষেত্রেও মান উন্নত ও মধ্য আয়ের দেশের তুলনায় উদ্বেজনক।
দেশের পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্যবিদ্যালয়গুলুতে বিদেশী শিক্ষক নেই, উন্নত দেশের শিক্ষকতো দূরের কথা। এমনকি নিম্নতম সংখ্যারও বিদেশি শিক্ষার্থী এদেশের বিশ্ববিদ্দালয়গুলিতে পড়তে আসেনা। যে অতি অল্পসংখক শিক্ষার্থী কালে ভদ্রে দেখা যায়, তারাও কিছু অনুন্নত দেশে থেকে আসা; ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা যেন দুঃস্বপ্নের নামান্তর। এর উপর আছে প্রাইভেট বিশ্যবিদ্যালয়গুলুতে গুটি কয়েক জনপ্রিয় বিষয়ে শিক্ষা দান। নেই গবেষণার জনপ্রিয়তা। আর পাবলিক বা প্রাইভেট, এসব বিষয় বিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে লেটেস্ট স্কলারলি পাবলিকেশন্স গুলো থাকেনা বা আসতে আসতে তা বছর গড়িয়ে যায়। তারপর আছে আবার লাইব্রেরিতে বন্ধের ব্যাপার, থাকেনা পরীক্ষার্থীদের জন্য ২৪ ঘন্টা খোলা। ভার্চুয়াল এক্সেস নিয়ে স্টাডি করা যায়না এদেশের লাইব্রেরি সেবায়। দুঃখের আরো একটি বেপার পীড়া দে, তা হচ্ছে যখন দেখা যায় স্বয়ং ঢাকা বিষয় বিদ্যালয়ে একজন মাস্টার্স পাশ করা ছাত্র কত তাড়াতাড়ি সহকারী অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছে, এবং এজন মাস্টার্স ডিগ্রি ধরি হয়ে তিনি আবার মাস্টার্স এর ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ উন্নত দেশে সহকারী অধ্যাপক হতে মধ্য বয়স হয়ে যেতে হয় পড়াতে পড়াতে ও গবেষণা করতে, তার উপর লাগে পিএইচডি। আর একজন পিএইচডি ধারিই সেসব দেশে মাস্টার্স এর ক্লাশনিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের বিষয় বিদ্যালয় গুলোর মান বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট কতৃপক্ষ সোহো সকল মহলের প্রচেষ্টাসহ সচেষ্ট হতে হবে।