- Advertisement -spot_img
Homeইতিহাস ও নিরাপত্তাহিটলারের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

হিটলারের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

- Advertisement -spot_img

হিটলারের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র ছিলোনা। হিটলার এ অস্ত্রের কথা চিন্তা করেছিলেন এবং এর বাস্তবায়নের জন্য তার বিজ্ঞানীদের দ্বারা নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামও শুরু করেছিলেন। কিন্তু হিটলার এস্টিমেট করেননি যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল তা বানচাল করে দেবার জন্য একটি ভলান্টারি টপ সিক্রেট সুইসাইড মিশন যার কোড নাম “Operation Peppermint” (cloak and dagger’ intelligence) পরিচালিত করবেন।[1] সেই মিশনের গোয়েন্দা এজেন্টরা জার্মানির নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম এর ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মডারেটর H2O হেভি ওয়াটার প্লান্ট -এ গোপন হামলা চালাবে (clandestine operations)।

ছবি: যুদ্ধের সময় হাইগার্লোচে জার্মানির পরীক্ষামূলক গোপন পারমাণবিক প্রকল্প যা যুদ্ধ জয়ের পর আমেরিকান এবং ব্রিটিশ সৈন্যরা পরিদর্শন করে ।

হিটলার তার পারমাণবিক কর্মসূচিও শুরু করেছিল ১৯৩৯ সালে। মার্কিন এবিং ব্রিটিশদের আগেই তিনি এ প্রোগ্রামে হাত দিয়েছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এর সাথে চার্চিল ১৯৪২ সালে দেখা করে আলোচনা করেন যে, হিটলার পারমাণবিক সাফল্য অর্জন করলে তা হবে পশ্চিম দুনিয়ার জন্য মহাপ্রলয়। আলোচনার ভিত্তিতে চার্চিল ১৯৪৩ সালে তার গোপন মিশন এজেন্টদের দিয়ে হিটলারের কর্মসূচি ধবংস করে দিতে সক্ষম হন l উল্লেখ্য, হিটলারের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম প্লানটি জার্মানিতে নয় বরং তা স্থাপন করা হয়েছিল জার্মান অধিকৃত নরওয়েতে।শুধু তাই নয়, নাজিরা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে শেষ কামড় পারমানবিক অস্ত্র তৈরীর জন্য জার্মানির অন্নান্য স্থানেও নিউক্লিয়ার রিসার্চ প্রোগ্রাম চালাচ্ছে কিনা তা uncover করার উদ্দেশ্যে আমেরিকা ১৯৪৫ সালে একটি গোপন অপারেশন চালায় যার Code-name “The Alsos Mission”। এ মিশনের আওতায় মার্কিনিরা জার্মানি থেকে নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানীদের ক্যাপচার করে আমেরিকায় নিয়ে আসে। এখন মূল উত্তরে আসি। পারমাণবিক অস্ত্র হাতে পেলে হিটলার সম্ভাব্য যে হামলাগুলো করতো তা নিম্নরূপ হতে পারতো:

  1. নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড অর্জনের পর হিটলার তার প্রায়োগ / বহন করার জন্য US-B2 বিমানের ন্যায় অতি উচ্চে (altitude) উঠে এবং রিফুয়েলিং ছাড়াই অনেক দূরের পথ পারি দিতে পারে এমন বিমান তৈরী করতেন।
  2. অথবা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে (WWII) এবং পৃথিবীতে প্রথমবারের মতো সফলভাবে তৈরী তার V-2 রকেটকে এটম বোমা নিয়ে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এমনভাবে প্রযুক্তিটি ডেভেলপ করতেন।
  3. এরপর তার priority টার্গেট লন্ডন, মস্কোতে হামলা চালাতেন।
  4. অতঃপর সুদূর নিউইউর্কে হামলা চালাতে তার V-2 Rocket অথবা B-2 মানের বিমানের capability আন্তমহাদেশীয় পাল্লায় বাড়িয়ে নিউইয়র্কে আঘাত হানতেন।

ছবি: জার্মানি সফল হলে এই ভি-২ রকেটকে আরো ডেভেলপ করে পারমাণবিক অস্ত্র বহনযোগ্য করে তুলতে পারতো।

এরজন্য তার ৩টি পারমাণবিক ওয়ারহেড লাগতো। তখনকার প্রযুক্তিগত সাপোর্ট অনুযায়ী তার এ মরণাস্ত্র ওয়ার এফোর্টের জন্য যে সময় লাগতো, ওই সময়ের মধ্যে মার্কিন, ব্রিটিশ & রাশিয়ানরাও বসে থাকতোনা। হয়তো তারা আরো গোপন কমান্ডো হামলা চালিয়ে নাৎসি নিউক্লিয়ার ওয়ার প্রোগ্রাম গুড়িয়ে দিতো। অথবা, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় এলিমেন্টস Espionage করতো। ফলে Allied Power-ও পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করে হিটলারের সমকক্ষ হয়ে পড়তো। পরিণতিতে গোটা বিশ্ব সভ্যতাগুলো নিশ্চিন্ন হয়ে যেত। তখন হয়তো আমরা আবার আদিম যুগে ফিরে যেতাম। বিজ্ঞানীরা আরো একটি বিশ্ব যুদ্ধে যা হবে বলে আশংকা করেন হয়তো এমন পরিস্থিতি WWIII- তে হতে পারে (খোদা না করুন)।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe

Must Read

- Advertisement -spot_img

Related News

- Advertisement -spot_img

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here